তারাবিহ নামাজের নিয়ম এবং নিয়ত দোয়া ও মুনাজাত বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ সহ
তারাবিহ নামাজ আদায়ের নিয়ম
ইশার নামায কিংবা তারাবীহ নামায ছুটে গেলে করণীয়
তারাবীহ নামাযের নিয়্যাত
نوبت ان اصلى لِلهِ تَعَالَى رُكْعَتَى صَلوةِ التَّرَاوِيْحِ سُهُ رَسُولِ اللهِ تعالى متوجها إلى جِهَةِ الكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ -
উচচারণ ঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকআতাই সালাতি তারাবীহ, সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার । (জামাআতে ইমামের পিছনে নামায আদায় করা হলে সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা এর পরে বলবে "ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমাম" অতঃপর বাকী অংশ বলবে)।
তারাবি নামাজের বাংলা নিয়্যাত
চার রাকআত তারাবীহর পর দু'আ
আমাদের দেশে প্রতি চার রাকআত তারাবীহর পর বসে নিম্নলিখিত দু'আ পাঠ করা হয়ে থাকে । এ দু'আর মাধ্যমে আল্লাহ জাল্লা শানুহুর প্রশংসা করা হয়েছে । কিন্তু এ দু'আ পাঠ করা জরুরী নয় এবং এটি নামাযের কোন অংশ ও নয়। এ দু'আ পাঠ না করে চুপচাপ বসে থাকলেও কোন গোনাহ হবে না । এ দু'আ কোন হাদীসে উল্লেখ নেই । কিন্তু এ দু'আ এমন ভাবে পাঠ করা হয় যে, মনে হয় এটি ওয়াজিব, আসলে তা নয় । তবে এ দু'আ পাঠ করা ভাল । কেউ কেউ হয়তো আছেন, এ দু'আ মুখস্ত পড়তে পারেন না বলে তারাবীহ নামাযেই যান না, এটি মারাত্মক অজ্ঞতা এবং ভ্রান্ত ধারণা।
سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ
উচচারণ : সুবহা-না জিল মুলকি ওয়াল মালাক-তি সুবহা-না জিল ইয্যাতি ওয়াল আযমাতি ওয়াল হাইবাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল জাবারুতি সুবহানাল মালিকিল হায়্যিল্লাযী লা- ইয়ানা-মু ওয়ালা ইয়া-তু আবাদান আবাদান সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররুহ।
অর্থ ঃ দৃশ্য ও অদৃশ্য লোকের মালিক যিনি আমি তারই পবিত্রতা ঘোষণা করছি । মান সম্মানের অধিপতি, ত্রাস সঞ্চারক, ক্ষমতাবান, গৌরবান্বিত এবং প্রবল ও প্রতাপশালী যিনি- আমি তারই মহিমা ঘোষণা করছি । আমি সেই চিরনজিব মহা প্রভুর প্রশংসা করছি যিনি কখনও নিদ্রায় যান না এবং যার কখনো মৃত্যু নেই । তিনি চির পবিত্র ও সম্পূর্ণ নিষ্কলংক । তিনি আমাদের, সমুদয় ফিরিশতাগণের এবং হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর রব ( প্রতিপালক) ।
তারাবীহ নামাযের মুনাজাত
আমাদের দেশে তারাবীহ নামায শেষে নিম্নলিখিত মুনাজাত করা হয়ে থাকে । কিন্তু এটি কোন হাদীস নয় এবং এ মুনাজাত করতে হবে এমন কোন কথাও নয় নামায শেষে যে কোন ভাবে মুনাজাত করা যায় কিংবা মুনাজাত না করেও চলে যাওয়া যায়। মুনাজাত নামাযের কোন অংশ নয় । তবে তারাবিহ নামাজের দোয়ার মতো মুনাজাতেরও একটি ব্যাপক প্রচলিত দোয়া রয়েছে। ইচ্ছা করলে এ দোয়াটিও পড়া যায়। আর তাহলো
اللهم إنا نسل الْجَنَّةِ وَنَعُوذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقُ الْجَنَّةِ وَ النَّارِ بِرحمَتِكَ يَا عَزِيزُ يَا عَفَارُ يَا كَرِيمُ يَا مَتَارُ يَارَ جِيمُ يَا جَارُ يَا خَالِقُ يَابَاتُ اللهُم رَجِرْنَ مِنَ النَّارِ يَا مَجِيرُ يَا مُجِيرُ يَا مُجِيرُ بِرَحْمَتِكَ يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ
উচচারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউযুবিকা মিনা না-রি ইয়া-খা-লিকুল জান্নাতি ওয়ান্না-বি বিরাহমাতিকা ইয়া আধী, ইয়া-গাফা-রু, ইয়া-কারীমু, ইয়া-সাত্তা-রু, ইয়া রাহীমু, ইয়া জাব্বা-রু, ইয়া-খা-লিকু, ইয়া- বারক, আল্লা-হুম্মা আজিরনা মিনান্নারি ইয়া-মুজীরু, ইয়া-মুজীক, ইয়া-মুজীক বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন ।
অর্থ : হে আল্লাহ, নিশ্চয় আমরা তোমারই নিকট জান্নাত কামনা করি এবং দোজখ হতে মুক্তি প্রার্থনা করি । হে জান্নাত ও দোজখের স্রষ্টা, হে প্রবল পরাক্রমশালী, হে ক্ষমাকারী, হে দয়াবান, হে দোষত্রুটি আচছাদনকারী, হে করুণাময়, হে প্রতাপশালী, হে মহান সৃষ্টিকর্তা, হে সৎকর্মশীল আল্লাহ আমাদের প্রতি করুণা কর । হে আল্লাহ, হে ত্রানকর্তা, হে মুক্তিদাতা, হে রক্ষাকারী, হে দয়াল শ্রেষ্ঠ দয়ালু, নিজ করুণায় আমাদেরকে অগ্নি হতে উদ্বার কর ।
ভুল ক্রুটি হলে ক্ষমা করবেন আর অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কোথায় ভুল হয়েছে।সকল প্রকার টিপস এবং ট্রিক পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ট্রিকবিডিফ্রি Trickbdfree এর সাথেই থাকুন আল্লাহ হাফেজ।